প্রতিটি বেসরকারী ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী অফিসার এবং প্রবেশনারী অফিসার
পদে অনেক যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ
করা হয়ে থাকে। আকর্ষণীয় বেতনের পাশাপাশি এই পদধারী ব্যক্তিদের পদোন্নতিও হয় খুব তাড়াতাড়ি।
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং প্রবেশনারী পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর তাদের অফিসার, সিনিয়র অফিসার, এক্সিকিউটিভ অফিসার অথবা প্রিন্সিপাল
অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে যারা ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে বিভিন্ন ব্যাংকে
রয়েছেন, তাদের অনেকেই চাকরি জীবনের শুরুতে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী অফিসার এবং প্রবেশনারী
অফিসার হিসেবে তাদের ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রাথমিক
বেতন ব্যাংক ভেদে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে বেতনের পরিমাণও
বাড়ে। এসব অফিসাররাই হচ্ছেন একটি ব্যাংকের ভবিষ্যতের কান্ডারি। প্রবেশনারি পিরিয়ড শেষে
একজন অফিসারকে কি পদে অধিষ্ঠিত করা হবে তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নীতিমালা, প্রবেশনারি পিরিয়ডের কর্মদক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের ওপর।
নিয়োগের
যোগ্যতা:
ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী অফিসার
এবং প্রবেশনারী অফিসার পদে নিয়োগের যোগ্যতা সাধারণত সব বিভাগের সম্মানসহ ডিগ্রিধারী
ছাত্র-ছাত্রীরা । তবে কিছু কিছু ব্যাংকে নির্বাচিত কিছু বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য
দিয়ে থাকে। যেমন ব্যবসায় প্রসাশন, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, গণিত ইত্যাদি। সাধারণত
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়।
বেতন
ও সুযোগ-সুবিধা :
ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে মূল
বেতনের পাশাপাশি আরো কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো বছরে দুটি আনুষ্ঠানিক বোনাস,
প্রণোদনা বোনাস, বিভিন্ন ভাতা, চাকরিজীবী ঋণ, কম্পিউটার ঋণ, গৃহ নির্মাণ ঋণ ও মোটর
সাইকেল ঋণ ইত্যাদি।
পরীক্ষা
পদ্ধতি ও প্রশ্নের ধরন :
বিভিন্ন বিশেষায়িত ও বেসরকারি
ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে ব্যাংকভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন প্রায়
একই হয়ে থাকে। তবে নিয়োগদাতাদের ওপরও প্রশ্নের ধরন নির্ভর করে। নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত
অথবা মৌখিক বা দুই ধরনের পরীক্ষাই হয়। লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায়
অংশ নিতে পারেন। ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কিছুটা ভিন্নতা থাকে। সাধারণত
ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়
প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক
ম্যানেজমেন্ট (বি আইবিএম) বা এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার
প্রশ্নপত্র বাংলায় বা ইংরেজিতে হয়। প্রশ্নপত্র সাধারণত দুটি অংশে বিভক্ত থাকে। প্রথম
অংশ নৈর্ব্যক্তিক এবং দ্বিতীয় অংশ রচনামূলক। পরীক্ষার সময় এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত
হতে পারে। নৈর্ব্যক্তিক অংশের প্রশ্ন হয় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান,
বিজ্ঞান, কম্পিউটার থেকে এবং লিখিত বা বর্ণনামূলক পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি
ও এনালিটিক্যাল এবিলিটি থেকে। তাই আর দেরী না করে এখন থেকেই বই-পুস্তক নিয়ে বসুন আর
প্রস্তুতি নিন প্রতিযোগিতামূলক এসব পরীক্ষার।
0 comments:
Post a Comment