Best Jobs Preparations world

Video of the Day

Sunday, March 29, 2015

যেভাবে সফল হবেন ক্যারিয়ারে

জীবন বাঁচানোর জন্য জীবিকা হিসাবে মানুষ কোন না কোন কাজ করে থাকে। এই কাজ করার মাধ্যমেই মানুষ কোন একটি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে জীবিকার পথ হিসেবে তা বেছে নেয়। জীবিকার পথ হিসেবে মানুষ যে পন্থাকে বেছে নেয় তাই মূলত তার ক্যারিয়ার যেমন একজন ডাক্তার তার জীবিকা হিসেবে ডাক্তারি করে থাকেন। এখানে ডাক্তারি করাটাকে তিনি ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন। আর এজন্য তিনি কোন হাসপাতালে কাজ করেন। সুতরাং আরেকটি বিষয় এখানে চলে আসে যে, কাজ করা আর ক্যারিয়ার এ দুটি বিষয় পরষ্পর সম্পর্ক যুক্ত হলেও একই বিষয় নয়। মূলত মানুষ তার ক্যারিয়ার ঠিক করতে বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।

তাই, ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে আমাদেরকে  সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন পন্থা বা বিষয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে। আর এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। একজন ব্যক্তি যত শুরু থেকে তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন তিনি তত তাড়াতাড়ি সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ক্যারিয়ার পরিকল্পনার পর সে ক্যারিয়ারে সফলতার জন্য যে বিষয়টি দরকার তা হলো, সাফল্য সম্পর্কে ধারণা থাকা। নিচে ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে বেশ কয়েকটি টিপস তুলে ধরা হলঃ

১। সফল হওয়ার জন্যে প্রত্যেকটা কাজে ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে। অফিসে পৌঁছানোর পরই কাজে ঝাঁপিয়ে না পড়ে, প্রথমে একটা প্রায়োরিটি লিস্ট। অর্থাৎ, গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলো সাজিয়ে নিন। কাজটা করতে কতটা সময় লাগবে, লিখে রাখুন। সবসময় হয়তো প্রায়োরিটি লিস্ট পুরোপুরি ফলো করতে পারবেন না। নিন্তু নির্দিষ্ট প্যাটার্নে কাজ সাজিয়ে নিলে সহজে ভুল হবেন না। অযথা সময়ও নষ্ট হবে না।

২। কাজের পদ্ধতি যত পারফেক্টলি প্ল্যান করতে পারবেন, একজিকিউশনও তত নিখুঁত হবে। সব সময় যে প্ল্যান করলেই কাজ ভাল হবে তা নয়, তাই হতাশ না হয়ে নিজের উপর ভরসা রাখুন।

৩। নিজেকে আপডেটেড রাখুন। অনেক সময় আমরা নিজের কাজ নিয়ে এতো বেশি নিমজ্জিত হয়ে পড়ি যে, গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে বেরুতে পারি না। কিন্তু এই রকম চলতে থাকলে তা আপনার জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

৪। শুধু নিজের কাজে দক্ষ হলেই চলবে না। সেই কাজ যত্নের সঙ্গে উপস্থাপনা করাও সাফল্য পাওয়ার অন্যতম নিয়ম। আর উপস্থাপনার প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রস্তুতি। আপনি কী বলতে চান বা কেন কাজ করার সময় নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলেছেন, তার যুক্তি আগে নিজেকে ভাল করে জানতে হবে।

৫। অফিসে ক্রাইসিসের মুহূর্তে ডিসিশন মেকিংয়ের উপরই নির্ভর করে কাজের সাফল্য। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে প্রথমেই প্রয়োজন ঠাণ্ডা মাথার। আবেগের বদলে উপস্থিত বুদ্ধি এবং যুক্তির প্রয়োগ করুন।

কাজের চাপ আমাদের নিত্যসঙ্গী হলেও তারই মধ্যে নিজেকে প্রমান করার সমস্ত সুযোগের স্বদ্বব্যবহার করতে হবে। অফিস পলিটিকস বা গসিপে বেশি মনোযোগ দেওয়ার থেকে নিজের কাজের প্রতি সচেতন হন। এটুকু জানেন যদি নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকেন, তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে আপনি সফল হবেনই। নিজের ওয়ার্ক লাইফ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাও সমান দরকার। ভেবেই দেখুন না, আপনার স্কুলের বন্ধু হয়তো আপনার থেকে বড় কোম্পানিতে কাজ করেছেন আর আপনি সেই ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন, এতে কিন্তু নিজের জীবনের উপলব্ধিগুলোও ছোট মনে হবে। অন্যের নিরিখে নিজের সাফল্য মাপবেন না। বরং নিজে কী করতে পেরেছেন, সেটা নিয়ে গর্ব বোধ করুন। ভাল থাকবেন। 


Ripon Abu Hasnat

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet nostrum imperdiet appellantur appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.



0 comments:

Post a Comment

Social Time

Facebook
Like Us
Google Plus
Follow Us
Twitter
Follow Us
Pinterest
Follow Us