ডিভিডেন্ড
ডিভিডেন্ড অর্থ লভ্যাংশ। একটি কোম্পানির তার মুনাফার যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করে থাকে তা-ই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড।
ডিভিডেন্ড অর্থ লভ্যাংশ। একটি কোম্পানির তার মুনাফার যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করে থাকে তা-ই লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড।
ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট
বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারের প্রাপ্য লভ্যাংশের বিপরীতে দেওয়া কোম্পানির চেক। কোম্পানি সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারের মালিকানাধীন শেয়ারের জন্য প্রাপ্য মোট লভ্যাংশের অর্থ একটি চেকের মাধ্যমে এ অর্থ পরিশোধ করে থাকে। বিদ্যমান আইন অনুসারে লভ্যাংশ আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর বা অন্যান্য কর প্রযোজ্য হলে কোম্পানি তা কেটে রেখে প্রাপ্য বাকী টাকা চেকের মাধ্যমে প্রদান করে থাকে। ওয়ারেন্ট সব সময় একাউন্টপেয়ী হয়ে থাকে। যার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয় তার ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়ে এটি নগদায়ন করতে হয়। কোম্পানি চেকের সঙ্গে একটি একনলেজমেন্ট লেটার পাঠায় যাতে তার ঠিকানা, শেয়ারফলিও নাম্বার বা বিও নাম্বারসহ অন্যান্য তথ্য উল্লেখ থাকে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি
পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি সংগঠন হলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (Public Limited Company)। এসকল কোম্পানী বাজারে শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে মূলধন জোগাড় করে থাকে। বাংলাদেশে এধরণের কোম্পানির সদস্যসংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য এবং কোম্পানি শেয়ার ও ঋণপত্র জনগণের উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের আহবান জানায়। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে মালিকানার ভিত্তিতে দুইভাগে এবং নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে আরো দুভাগে ভাগ করা যায়:
হোল্ডিং কোম্পানি
যদি কোনো কোম্পানি অন্য কোম্পানির ৫০% শেয়ারের বেশি শেয়ারের মালিক হয় বা মোট ভোটদান ক্ষমতার ৫০%-এর অতিরিক্ত ভোটদান ক্ষমতা ভোগ করে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অধিকাংশ পরিচালক নিয়োগ করার ক্ষমতার অধিকারী হয় তবে ঐ কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণশালী বা ধারক কোম্পানি বা হোল্ডিং কোম্পানি বলে।
একমালিকানা ব্যবসায়
একমালিকানা ব্যবসায় বা এক মালিকানা ব্যবসায় হল একজন ব্যাক্তির মালিকানাধীন এবং মালিক কতৃক পরিচালিত ব্যবসা। একমালিকানাধীন ব্যবসা এবং মালিক দুটি আলাদা স্বত্বা নয় বরং ব্যবসার সকল দায় দেনা এবং সম্পদ সমস্তই মালিকের একার। ব্যবসার সমস্ত লাভ-ক্ষতি মালিক একাই ভোগ করেন । এক মালিকানাধীন ব্যবসার মালিক ইচ্ছে করলে তার নিজের বা ব্যবসায়িক নামে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
সাবসিডিয়ারি কোম্পানি
যে কোম্পানির ৫০%-এর বেশি শেয়ার বা ভোটদান ক্ষমতা অন্য কোম্পানির অধীনে চলে যায় সে কোম্পানিকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বলে। মূলত হোল্ডিং কোম্পানি যেসকল কোম্পানির ৫০% শেয়ার ক্রয় করে তাদেরকেই সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা অধীন কোম্পানি বলে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন
এশিয়ার কিছু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে গড়ে উঠা লেনদেন নিষ্পন্ন সংস্থা। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহজে লেনদেন নিষ্পন্ন করার তাগিদ থেকে ১৯৭৪ সালে এ সংস্থা গড়ে তোলা হয়।প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৬ টি। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ ব্যাংক,রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (ভারত), সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ দ্যা ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান,নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান,সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ শ্রীলংকা।১৯৭৭ সালে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব মায়ানমার,১৯৯৯ সালে রয়্যাল মনিটারি অথরিটি অফ ভুটান এব্ং ২০০৯ সালে মালদ্বীপ রয়্যাল মনিটারি অথরিটি সংস্থাটিতে যোগ দেয়।
0 comments:
Post a Comment