ব্যাংকিং
পেশায় নিয়োজিত এবং এ খাতে চাকরি পেতে আগ্রহীদের সামনে ব্যাংকিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য
একটি ভালো সুযোগ রয়েছে। আর মহামূল্যবান এ সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। প্রতিষ্ঠানটি মাস্টার্স অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (এমবিএম) এর পাশাপাশি এখন সান্ধ্যকালীন
মাস্টার্স অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (ইএমবিএম)
স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করেছে।
সময়ের
প্রয়োজনে ব্যাংকগুলোর ব্যাপক
চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিআইবিএম
১৯৯৭ সালে ব্যাংকিং বিষয়ে মাস্টার্স অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম)
কোর্স চালু করে। পরবর্তীতে এমবিএম কোর্সের পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন এমবিএম
কোর্স চালু করে। এমবিএম কোর্স দুই বছর আর সান্ধ্যকালীন এমবিএম (ইএমবিএম) কোর্সটি দুই বছর আট মাস মেয়াদি। একজন প্রার্থীকে ছয়টি সেমিস্টারে সর্বমোট ২৪টি বিষয় পড়তে হয়। প্রতিটি সেমিস্টার এর মেয়াদ চার মাস। তবে ইএমবিএম প্রার্থীদের ২৪টি বিষয় আটটি সেমিস্টারে পড়তে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের জন্য স্বল্পমেয়াদি কোর্স করারও সুযোগ আছে বিআইবিএমে। যেমন, প্রশিক্ষণ কোর্স, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, গবেষণা কর্মশালা, রিভিউ কর্মশালা ইত্যাদি। কোর্সগুলো ২ থেকে ১০ দিনব্যাপী হয়ে থাকে।
বিআইবিএমে
স্নাতকোত্তর কোর্সে মৌলিক অর্থনীতি, ব্যবসায় যোগাযোগ, সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং আইন ও প্রয়োগ, ঋণ পরিচালনা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, প্রতিবেদন
তৈরি, বিপণন ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় গণিত, উচ্চতর হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় পরিসংখ্যান, ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক
বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিময়, আন্ত:নিয়ন্ত্রণ কৌশল ও ব্যাংক সুপারভিশন, ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং, তথ্যপ্রযুক্তিসহ ব্যাংকিং-সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় পড়ানো হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি স্বল্পমেয়াদি
কোর্সে ঋণ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও গ্রামীণ ব্যাংকিং, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ইসলামি ব্যাংকিং ও অর্থায়ন, অর্থ বিশ্লেষণ, উদ্যোক্তা-উন্নয়ন ও এসএমই ব্যবসা, শাখা ব্যবস্থাপনা, বিপণন,
ব্র্যান্ডিং ও রিলেশনশিপ ব্যাংকিং, নেতৃত্ব, দল গঠন ও আলোচনা দক্ষতা, সাধারণ ব্যাংকিং, ঋণ আইন ও নীতি, বিনিয়োগ ব্যাংকিং প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ভর্তিচ্ছু
আগ্রহী প্রার্থীকে যে কোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত এমবিএম কোর্সে ৬০ জন ও সান্ধ্যকালীন এমবিএম কোর্সে ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। ভর্তির ক্ষেত্রে সাধারণত পেশাজীবী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার
দেওয়া হয়।
বিআইবিএম
কার্যালয় থেকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষ ভর্তি করা হয়। এখানে দুই ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে যার মধ্যে ইংরেজি ৫০, গণিত ৩০ ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া রয়েছে ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।
যারা
এমবিএম বা ইএমবিএম কোর্সে ভর্তি হবেন, তাঁদের পুরো কোর্সের জন্য প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা টিউশন ফি বাবদ দিতে হবে। পুরো টিউশন ফি একবারে পরিশোধ না করে প্রতি টার্মভিত্তিক দেওয়ারও
সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে বিআইবিএম, প্লট-৪, সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬। ফোন: ৯০০৩০৩১-৫ এ যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা ইন্টারনেটে দেখতে পারেন www.bibm.org.bd
0 comments:
Post a Comment