নতুন পরিবেশে নতুন করে সব কিছু শুরু করা বেশ কঠিন কাজ।
চাকরী ক্ষেত্রটাও এর ব্যতিক্রম নয়।
চাকরীর প্রথম দিকে অনেকেই কিছু ভুল করে থাকেন যেটা পরবর্তী চাকরি জীবনে প্রভাব বিস্তার করে।
জব এক্সপার্টরা মনে করেন-নতুন চাকরির প্রথম ৯০ দিন অনেক বেশি জরুরি।
এ ৯০ দিনেই নির্ধারিত হয়ে যায় চাকুরীজিবীর উন্নতি কিংবা অবনতি।
তাই চাকরীর প্রথম দিকে যে ব্যপারগুলো খেয়াল রাখবেন তা হল:
১।
আপনি প্রথমবার যে কাজটি করবেন সেটাই আপনার পরিচয় বহন করবে।
নতুন চাকরিতে নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে যেয়ে এমন কোন কিছু করবেন না যাতে আপনার উপর আপনার বস ও সহকর্মীদের একটি বিরূপ ধারনার সৃষ্টি হয়।
কারণ এই বিরূপ ধারণা পরবর্তীতে আর বদলায় না।
২।
অনেকেই চাকরীর প্রথম দিকে নিজেকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করেন, যা একদমই উচিত নয়।
অনেক জব এক্সপার্টের মতে-“নতুন চাকরির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতিকর।”
৩।
অনেকেই নতুন চাকরিক্ষেত্রে গিয়ে নিজে কাজ করতে যান বা কারো কাছে সাহায্যের জন্য যান না এই ভেবে যে কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
কিন্তু এটি একেবারেই ঠিক নয়।
আপনি যদি সাহায্য চান তাহলে আপনার একইসাথে দুটি কাজ হবে।
প্রথমত, আপনি নিজেকে একজন নতুন মানুষ হিসেবে পরিচিতি দিতে পারবেন এবং দ্বিতীয়ত, আপনি সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম ধাপ পার করতে পারবেন।
৪।
নতুন কর্মক্ষেত্রে আপনার সাথে যারা কাজ করবেন তাদের সাথে সু- সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করুন পতিনিয়ত।
তবে তা একদিনেই করতে যাবেন না।
ধীরে ধীরে তাদের মনোভাব বুঝে তবেই যাবেন।
যদি আপনার সহকর্মী আপনার মধ্যে একজন বন্ধু খুঁজে পান তাহলে আপনার নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কোন সমস্যাই হবে না।
৫।
আপনি নতুন চাকরিতে ঢুকে প্রথমেই কঠিন কোন কাজ করে ভাববেন না যে আপনার উন্নতি অবশ্যম্ভাবী।
এর উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
আপনার সহকর্মীরা আপনাকে প্রথম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিতে পারেন।
যদি আপনার বস আপনাকে কঠিন কোন কাজ দিলে তবেই তা করার চেষ্টা করুন।
নিজে না পারলে অন্যের সাহায্য নিন।
৬।
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে সকল কাজের জন্য চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয় তা ব্যাতিত অন্যান্য আরও কাজ করতে হয়।
যদি আপনার কাজের চুক্তিতে তা লেখা না থাকে তবে আপনি এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন।
নতুন চাকরির জন্য অনেকে এই কাজটি করেন না।
চিন্তা করে দেখুন যেহেতু আপনাকে চাকরিতে রাখা হয়েছে সেহেতু আপনার বসের অবশ্যই আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ আছে।
আপনাকে আপনার অধিকার নিয়ে কথা বলা জানতে হবে।
নতুবা আপনার নিশ্চুপ মনোভাবের জন্য পরবর্তীতে আপনাকে দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।
তবে ডিপার্টমেন্ট হেড কিংবা ডিপার্টমেন্টের প্রয়োজনে আপনার দ্বায়িত্বের অতিরিক্ত কাজ করা লাগতে পারে।
এ ব্যপারে ভিন্নমত পোষন না করাই ভাল।
0 comments:
Post a Comment